স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নাম, স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করে প্রতারণা করেন মো. জসিম উদ্দিন। পরে এ ঘটনায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে প্রতারককে নগরীর কালুমিস্ত্রির মোড়ের ভাড়াবাসা থেকে গ্রেফতার করে বিশেষ পুলিশ বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিশেষ পুলিশ বিভাগের (সিআইডি) তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. এনামুল হক।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতারক জসিম ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর পুঠিয়ার বাশঁবাড়িয়া এলাকার জুয়েল নামের এক ইউপি সদস্যকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্বের সই ও সিল জালিয়াতি করে তাকে তার আবাদী কৃষি জমি পুকুর খননের অনুমতির কাগজ হিসেবে এনে দেন। পরবর্তীতে জুয়েল তার আবাদী জমিতে পুকুর খনন করলে পুঠিয়া ভূমি কার্যালয় থেকে বাধা প্রদান করা হয়। অতপর জুয়েল প্রতারক জসিমের প্রদানকৃত জাল অনুমতি পত্রটি বের করে দেখান। পরে তারা কাগজটি যাচাই করে বুঝতে পারেন এটি ভূয়া বা জাল অনুমতি পত্র। এরপর পুঠিয়া ভূমি কার্যালয়ের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর জুয়েলের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই মামলাটির নিষ্পত্তির জন্য পরে পুঠিয়া থানার থেকে বিশেষ পুলিশ বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হলে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় জসিম নামের এক প্রতারক তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থের বিনিময়ে পুকুর কাটার জন্য এডিসির অনুমতি এনে দেন। কিন্তু কাগজটি জাল সেটি তিনি জানতেন না। জুয়েলের দেওয়া তথ্য যাচাইপূর্বক সত্যতা মেলাই আজ (বুধবার) জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। আজ (বুধবার) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসকের এডিসি স্যারের সই জাল করার মতো জঘন্য কর্ম করে রাষ্ট্র তথা সরকারি বিধি ভঙ্গ করায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিদের্শে মামলা দায়ের করি। শুনেছি আজ মূল প্রতারক জসিম গ্রেফতার হয়েছে। তার যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.